FISMM, FCIM, FIH,
Justice of the Peace
Freeman of the City of London
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী
(জাস্টিস অফ পিস)
An abridged biography of Ahmed us Samad Chowdhury JP
সংক্ষিপ্ত জীবনী
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির এমনই একটি উজ্জ্বল নাম যে, তাঁকে বাদ দিয়ে যদি বৃটিশ বাংলাদেশী জীবনের ইতিহাস লেখা হয় তাহলে সেই ইতিহাস অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ও তার ভাই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (সিলেট -৩ আসনে প্রয়াত এমপি) যখন উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিটেনে আসেন। তাঁর চোখ জোড়া স্বপ্ন ছিল তা তার সাফল্যেরভম সাক্ষরে প্রতীয়মান হয়।
তাঁর পরবর্তী জীবনের সকল কাজে, সকল অর্জনে নেতৃত্বগুন যে তাঁর সহজাত তার প্রমাণ মিলে যখন তিনি সিটি অফ বাথ কলেজে অধ্যয়নকালে সেখানে ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হোন এবং পরবর্তী ব্রিস্টল ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হোন। কর্মজীবনে এসে তিনি বাথ কলেজেরই গভর্নর নিযুক্ত হন।
একজন বাংলাদেশি হিসেবে ৭০দশকে ব্রিটেনে এসে একটি কলেজে এই রকম নেতৃত্ব অর্জন করতে পারা
নিঃসন্দেহে এক বিশাল কৃতিত্বের ব্যাপার।
মিঃ চৌধুরী খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশীদের একজন যিনি বৃটেনে এসে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেন এবং সীমাহীন শ্রম, অধ্যাবসায় ও মেধা দিয়ে ব্রিটেনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তিনি যেভাবে বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটি ও এবং নিজ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য একের পর এক অগ্রগতিমূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রথিত-যশা এই মহান মানুষটির জীবন পরিক্রমা ও সাফল্যের গল্পগুলো নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন।
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা জানুয়ারী সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তার পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ও মাতা মরহুমা আছিয়া আক্তার খানম চৌধুরী।
মরহুম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা, লেখালেখি ইত্যাদিতে নিয়োজিত ছিলেন, কবিতার বইও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মাতা আছিয়া খানমেরও সম্পৃক্ততাও ছিল সমাজসেবায়। তাঁর সমাজসেবায় মন মানসিকতা ছিল বলেই স্বামীর পক্ষেও সারা জীবন সমাজের জন্য কাজ করে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী নিজ গ্রামের দুর্গাপুর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করে পরবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ এনজিএফএফ স্কুল ও পিপিএম স্কুলে অধ্যায়ন করেন।
১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী বাথ শহরের সিটি অফ বাথ কলেজ থেকে ও -লেভেল এবং এ লেভেল
পাশ করার পর ব্যবসা প্রশাসন বিষয়ে প্রথম ভর্তি হোন সাউথ বৃস্টল কলেজে এবং পরে এ বিষয়ে উচ্চতর
ডিগ্রী শেষ করেন ব্রিস্টলে। উচ্চ শিক্ষা শেষ করেই আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী আত্মনিয়োগ করেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠায়। ১৯৭৯ সালে বৃস্টল নগরীতে 'দি ইন্ডিয়ান ফুড সেন্টার' নামে একটি টেইকওয়ে ব্যবসা চালু করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর কর্ম জীবন। এই টেইকওয়েটিই পশ্চিম ইংল্যান্ডে কোন বাংলাদেশীর মালিকানাধীন প্রথম টেইকওয়ে। ১৯৮০ সালে তিনি ও তার বড় ভাই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মিলে ঐতিহ্যবাহী বাথ নগরীতে 'রাজপুত' নামে যে রেস্টুরেন্টটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা আজ যুক্তরাজ্যে ইন্ডিয়ান ফুডের লিজেন্ড-এর খ্যাতি অর্জন করেছিলো এবং ধারাবাহিকভাবে 'বেস্ট ইন বৃটেন' ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পুরষ্কার অর্জন করেছিলো। ব্যবসায়িক ব্রান্ড হয়ে উঠা তিনি ধারাবাহিক ভাবে কমপক্ষে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী ক্যাটারিং ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করে পার্সোনালিটি অফ দ্যা ইয়ার খেতাব লাভ করেন। তিনি প্রিন্টিং, প্রকাশনা, রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। এই ধারাবাহিকতা সামাদ গ্রুপ বিলেতে ও বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য কোম্পানী হয়ে উঠে। যার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী। এই গ্রুপের বিভিন্নধর্মী ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা যারা বিলেতে কারি ইন্ডাস্ট্রিতে তথা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় আগ্রহী তাদের ব্যবসা শুরু ও সফলতা অর্জনে বিভিন্নভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে বিলেতে বাংলাদেশীদের প্রতিষ্ঠিত হতে বিরাট অবদান রেখেছেন তিনি।
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী কেবল নিজের উন্নতি ও ব্যবসায়িক সাফল্যে সীমাবদ্ধ থাকেন নি। তিনি একজন তরুন আত্মনিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবী ও কমিউনিটি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের তালিকা দীর্ঘ। ইংল্যাণ্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়ন ও বিবিধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থেকে কমিউনিটির কাছে বিশেষ মর্যাদাপুর্ন ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালে ‘বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন বৃস্টল ও বাথ’ এর গঠনতন্ত্র রচনা করেন তিনি।
১৯৮৫ সালে তিনি ‘বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন বৃস্টল ও বাথ’ এর সভাপতি নির্বাচিত হোন।
পরবর্তীতে এই সংগঠনের নতুন নামকরণ করা হয় 'বাংলাদেশ এসোসিয়েশন বৃস্টল-বাথ এণ্ড ওয়েস্ট' এবং তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে এই দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে এ সময় বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ও স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির কল্যাণে বেশ কিছু কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয় যার মধ্যে ১৯৮৭ সালে ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন বৃস্টল-বাথ এণ্ড ওয়েস্ট’ এর মহিলা শাখা গঠন, ১৯৯০ সালে বৃস্টল-এর স্ট্যাপলটন রোডে বাংলাদেশ হাউস প্রতিষ্ঠা, ১৯৯৩ সালে বৃস্টলে 'বাংলাদেশ সেন্টার' প্রতিষ্ঠা ও মাদার টাং সাপ্লিমেন্টারি স্কুল প্রতিষ্ঠা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০০২ সালে তাঁরই নেতৃত্বে বৃস্টলে প্রতিষ্ঠিত হয় শাহজালাল মসজিদ নামে পশ্চিম ইংল্যাণ্ডের প্রথম পারপাস-বিল্ড মসজিদ। দৃষ্টি নন্দন এই মসজিদ নির্মাণে তখন ব্যয় হয়েছিল ১.২ মিলিয়ন পাউণ্ড। উক্ত তিনটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি।
১৯৯১ সাল থেকে 'কমনওয়েলথ জাজেস এণ্ড ম্যাজিস্ট্রেট এসোসিয়েশন' এর আজীবন সদস্য মনোনীত হোন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী।
সমাজ-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সচেতন ব্যক্তিত্ব যিনি নিজস্ব সংস্কৃতি, ক্রীড়া ইত্যাদির উন্নয়নে বিলেতে এবং বাংলাদেশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই 'বৃটেন-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বৃটেনের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হসপিটালিটি ট্রেনিং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ইন গ্রেট বৃটেন-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ছিলেন ও বাংলাদেশ-বৃটিশ চেম্বার অফ কমার্স ইউকে-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডাইরেক্টর ও বর্তমান চিফ এডভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া হোটেল ক্যাটারিং এণ্ড ইনস্টিটিউশনাল ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন, ইনস্টিটিউট অফ সেলস মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট এবং ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট- এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তিনটিতে রয়েছে তার ফেলোশিপ।
বিদেশে বসবাস করেও আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী নিজ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন তৈরি করেছেন। সিলেট লায়নস শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই তিনি এর সাথে জড়িত রয়েছেন। ১৯৮৭ সালের দিকে তিনি এই হাসপাতালের জন্য যুক্তরাজ্যের বৃস্টল ও বাথ নগরী থেকে সর্বপ্রথম সাড়ে চার লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করে দেন যা থেকেই মূলতঃ সৃষ্টি হয় এই হাসপাতালের অগ্রযাত্রার সূচনা। এই অর্থায়নে শিশু হাসপাতালটিতে 'বৃস্টল-বাথ' ওয়ার্ড ও ফেঞ্চুগঞ্জ আছিয়া আক্তার খানম ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে একটি বড় অংকের অর্থ এই হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য দান করেন। ১৯৯৬ সালে বাথ নগরীর গিল্ড হলে 'রাজপুত গালা ইভনিং' নামে এক মনোরম চ্যারিটি সন্ধ্যার আয়োজন করেন যেখানে বাথ নগরীর তৎকালীন মেয়র, বৃটিশ এমপি, মন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেলিব্রিটি উপস্থিত ছিলেন। চ্যারিটি সন্ধ্যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দুই ভাগ করে স্থানীয় রয়েল ইউনাটেড হসপিটালের জন এপলি চিলড্রেনস ওয়ার্ড এবং সিলেট লায়নস শিশু হাসপাতালের জন্য ব্যয় করেন।
১৯৮৭ সালে তাঁর নেতৃত্বে 'সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ' উন্নয়নে অনেক কাজ করেন।
বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘুর্নী-ঝড় ও জলোচ্ছাসে দূর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য ১৯৯২ সালে তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে একটি সাইক্লোন সেন্টার কাম মাদ্রাসা নির্মিত হয় ও সিলেট শহরের
পাঠানটুলায় অবস্থিত এতিমখানা ভবনের বর্ধিতকরণের কাজ হয়। তার নিজস্ব অর্থায়নে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার মাইজগাঁও ইউনিয়নের হাটুভাঙায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । এ ছাড়াও তাঁর জন্মস্থান সিলেটে অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন সামাদ চৌধুরী।
বাংলাদেশের এক সময়ের বহুল প্রচারিত বাংলাবাজার পত্রিকা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অর্থ, মেধা ও সময় বিনিয়োগ
করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর লণ্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দেশবার্তা পত্রিকার মালিকানা, প্রকাশনা, ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব পালন করেন । এক পর্যায়ে এটি বন্ধ করে দিয়ে নতুন উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২৭ মে লণ্ডন থেকে তাঁর 'সামাদ পাবলিকেশনস ইউ কে' থেকে তিনি প্রকাশ করেন 'সাপ্তাহিক পত্রিকা' নামে একটি সাপ্তাহিকী। যেটা ব্রড শীট পেপারে যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রথম রঙিন পত্রিকা। সততা, নিষ্ঠা, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার নিরিখে সামাদ চৌধুরী বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্য থেকে "জাস্টিস অফ পিস" (জে পি) খেতাব অর্জন করেন এবং বাথ ও ব্রিস্টল কোর্টে একজন সম্মানিত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
সামাদ চৌধুরী ( জেপি) ১৯৮৩ সালে কুলাউড়া থানার কাদিরপুর গ্রামের মরহুম রফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ কন্যা ফাতেমা পারভিন চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। অতিথিপরায়ণ, বন্ধুবৎসল, পরোপকারী, সদালাপী এই সুখি দম্পতি তিন পূত্রের জনক।
বড় ছেলে ফাহিম উসন সামাদ চৌধুরী , মেঝো ছেলে ড্যানিয়েল উস সামাদ চৌধুরী ও ছোট ছেলে তাহমিদ উস সামাদ চৌধুরী সবাই বিভিন্ন সুনামধন্য বিদ্যাপীঠে অধ্যায়ন করে কর্ম জীবনে উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত।
সামাদ চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে ইংল্যাণ্ডে গমনেচ্ছুকদের জন্য ইংল্যাণ্ডে বাংলাদেশী ইমিগ্রান্টদের বহুবিধ হয়রানি ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা সহ বিনামূল্যে সকল প্রকার সহায়তা ও বুদ্ধি-পরামর্শ দেয়ার লক্ষে তিনি
২০০২ সালে সিলেটে প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট প্রজেক্ট খ্যাত "ইমিগ্রেয়াশন এডাভাইজরি সার্ভিস"
(আই.এ.এস)-এর সিলেট শাখা যা ব্রিটিশ হাইকমিশন সরাসরি তত্ত্বাবধান করেছিলো।
'আই.এ.এস- সিলেট প্রজেক্ট' যুক্তরাজ্যের বাইরে প্রথম একটি প্রতিষ্ঠান যা ইমিগ্রান্ডদের জন্য বন্ধু হয়ে দাঁড়ায়। যার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন অসংখ্য বৈধ গমনিচ্ছুক।
সামাদ চৌধুরী জালালাবাদ হসপিটাল ফর দি ডিসাবল্ড এণ্ড প্যারালাইজড এর প্যাট্রন, বাংলা টিভি ইউ কে এর ডিরেক্টর ছিলেন(২০০০-২০০২) ২০০২ সাল থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন ইউকে এর প্যাট্রন, ২০০৪ সাল থেকে লণ্ডন প্রেস ক্লাবের সদস্য, ২০০৬ থেকে ন্যাশন ওয়াইড এসোসিয়েশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডিভেলপমেন্ট (এন এ আই ডি)এর উপদেষ্টা, ২০০৭ সালে থেকে দেশে বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল" চ্যানেল এস " এর চেয়ারম্যান তিনি। বাংলাদেশ ও ব্রিটেনে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যে চ্যানেলের রয়েছে অসামান্য অবদান। ২০০৯ সাল থেকে পি.পি.এম. হাই স্কুল এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকে এর চিফ প্যাট্রন, ২০০৯ সালে থেকে ফ্রেন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেটের প্রেসিডেন্ট, বিজয় ফুল এর ট্রাস্টি, কুশিয়ারা কম্পোজিট নীট ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান , লিভার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের আজীবন সদস্য, বিয়ানিবাজার ক্যানসার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সিলেট ডায়াবেটিক হসপিটালের আজীবন সদস্য। অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন নামে যে সংগঠনটি ২০১২ সালে গ্রিসের রাজধানী এথেনসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় তার শুরু থেকেই সামাদ চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর বুদ্ধি-পরামর্শ ও সহযোগিতায় ইউরোপের ২৮টি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের নিয়ে সংগঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপের বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করছে।
বৃটেনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী প্রাক্তন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের 'নিউ ডিল প্রোগ্রামের' উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি মাইল ফলক স্থাপন করেন। সামাদ চৌধুরীই বিলেতে প্রবাসী প্রথম বাংলাদেশী যিনি এই সম্মানজনক দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি ১০০জন ক্ষমতাধর ব্যক্তির ১জন (বিবি১০০ পাওয়ার) ব্রিটিশ বাংলাদেশি "হু ইজ হু" প্রকাশনায় শীর্ষ স্থান অর্জন করেন তিনি। এশিয়ান পাওয়ারেও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি।
ডিকশনারি অফ ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফির ৩৭তম সংস্করণে পৃথিবীর ৬০০০ শীর্ষ কৃতী মানুষের তালিকায় স্থান হয়েছে বৃটেনের তথা বহির্বিশ্বের অন্যতম স্বনামধন্য এই বঙ্গ সন্তান সামাদ চৌধুরীর।
এছাড়াও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউকে এর প্রধান উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যান পরিষদের উপদেষ্টা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল গার্ডেন সিলেট এর উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন, ইকরা প্রতিবন্ধী হাসপাতাল সিলেট এর প্রেট্রোন এবং বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি দিরাই সুনামগঞ্জের প্রধান উপদেষ্টা, কিডনি হাসপাতাল সিলেটের উপদেষ্টা , সম্প্রতি তিনি সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের অনুরোধে হাসপাতালটির সপ্তম তলা (শুভেচ্ছা ফ্লোর) নির্মান করে করে দিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
তার নানাবিধ সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসাবে ১০১ ব্রিটিশ বাংলাদেশি পুস্তিকায় মর্জাদাপুর্ন স্থান করে নিয়েছেন, ১০০জন সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন, ১০০ প্রভাবশালী এনআরবি ব্যক্তির তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।
অক্টোবর ২০২১ সালে তিনি আরো একটি বিশাল অর্জন করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন "দি ফ্রী ম্যান অফ দ্যা সিটি অফ লন্ডন" খেতাব অর্জন করে। এই খেতাবটি অর্জনের তালিকায় রয়েছেন পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবগ। এছাড়াও তিনি বিশ্বের সর্ববৃহত সংগঠন ‘এনআরবি ওয়ার্ড’ -এর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি বহুল প্রচারিত প্রবাসের মাটিতে "আলোকিত ২০জন সিলেটি" হিসাবে জনাব আহমেদ উস সামাদ
চৌধুরী নামও স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে প্রথম সারিতে।